মহঃ আজহারউদ্দিন ( বীরভূম ) : লাদাখ থেকে বীরভূম এক ঝটকায় মিলে মিশে একাকার করে দিল শহীদের কফিন বন্দী দেহ । সমস্ত রকমের ভেদাভেদ ভুলে আসমুদ্র হিমাচল যেন প্রতিরোধে সঙ্ঘবদ্ধ । চীনের আগ্ৰাসী মনোভাবে শহীদ রাজেশ ওরাং এর কফিনবন্দী দেহ নিয়ে সেনাবাহিনীর কনভয় যখন রাস্তা পার হচ্ছে চারপাশ থেকে ধ্বনিত ধিক্কার এই আগ্ৰাসনের বিরুদ্ধে । লাদাখ এ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ এর ফলে শহীদ ২০ জন ভারতীয় জওয়ান । কেন এই প্রাণহানি তার উত্তর খুঁজছে বীরভূমের অখ্যাত গ্ৰাম যা বিখ্যাত রাতারাতি সেনা জওয়ানের আত্ম বলিদানে ।
পানাগড় সেনা ছাউনীতে গতকাল সন্ধ্যায় বায়ুসেনার বিমানে এসে পৌঁছায় শহীদের দেহ । তখন থেকেই অঝোড় বৃষ্টি । যেন কাঁদছে গোটা প্রকৃতি । ভোরের আলো ফুটতেই সেনাবাহিনীর গাড়িতে করে শহীদের কফিনবন্দী দেহ রাস্তা পেরিয়ে পৌঁছে গেল বেলঘড়িয়া গ্ৰামে । রাতের অন্ধকার থাকতেই বৃষ্টি মাথায় হাজার হাজার মানুষ এর উপস্থিতি । একবার সকলেই দেখতে চান রাজেশ ওরাং এর দেহ । অবশেষে ধীরে ধীরে যখন গ্ৰামে পৌঁছালো গাড়ি তখন বাঁধ ভেঙেছে কান্নার । সকলের চোখে জল । গাড়ি থেকে সেনা বাহিনীর জওয়ানরা জাতীয় পতাকায় মোড়া দেহ নামিয়ে আনলো মাটিতে । সেই মাটিতে যেখানে রাজেশের বেড়ে ওঠা , ছুটে বেড়ানো শৈশব । ঝাপসা হয়ে এল চোখ । এর মধ্যেই গান স্যালুট , শ্রদ্ধাজ্ঞাপন । সাদা চাদরে মোড়া টেবিলে রাখা ছবিতে ফুুুল দিয়ে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন সকলে । ভালো থেকো রাজেশ ।